স্টাফ রিপোর্টার, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলে পুরাতন জেলখানাটি অযত্ন আর অবহেলায় এখন যেন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এটি পরিত্যক্ত হওয়ায় আশেপাশে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে চলে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা ও জুয়ার আসর। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অনেকেই এখন জেলখানাটি ভুতের বাড়ি নামেই চিনে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ বিগত প্রায় ৩৫ বছর আগে এ উপজেলায় ২০০ জন কয়েদির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ মিনি সাব জেলখানাটি নির্মাণ করেন। এরশাদের আমলে জেলখানাটি ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘকাল সময় পেরিয়ে গেলেও এটি চালুর আর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
এলাকাবাসী অনেকেই অভিযোগ করে জানান, জেলখানাটি পরিত্যক্ত হওয়ায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে বখাটে নেশাখোর ছেলেরা এসে জেলখানার আশেপাশে আড্ডার আসর জমায়। ভয়ে ওদের সাথে কেউ কথা বলে না। বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালের ইট খসে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে এটি পুনরায় সংস্কার করার দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তহশিলদার জহিরুল ইসলাম জানান, জেলখানাটি দুই একর জমির উপর রয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে আর কোন রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। এটি তদারকি করে সরকারি কাজে ব্যবহার করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এটি এভাবেই অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এ জেলখানার জমিটি ফেলে না রেখে সংস্কার করে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ বলেন, পরিত্যক্ত জেলখানাটি একসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় দেওয়া হয়েছিল। এটি সংস্কারে তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি। এর আগেও মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম তবে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণে আবারও আমরা চিঠি পাঠাবো।